টঙ্গীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ॥ শিশুসহ আহত-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুরের টঙ্গীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুইটি পরিবারের উপর প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় তিন মাসের শিশু ও মহিলাসহ তিনজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আহত শিল্পী আক্তার জানায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার ভাই শুক্কুরের সাথে স্থানীয় এরশাদ তালুকদারের ছেলে বছির তালুকদার (৩৪), রুবেল তালুকদার (৩০), একই এলাকার মনসুরের ছেলে ফাহিম ওরফে ভোঙ্গা ফাহিম (২২) ও সফিক মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ (২৬) এর বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে গত ৩ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের মধ্যে সংগঠিত মারামারির ঘটনায় মামলা হলে শুক্কুরকে পুলিশ ধরে নিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। এরপর থেকে বছিরগং শুক্কুরের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছে। এদিকে শুক্কুরের নামে হওয়া মামলার অপর অভিযুক্ত মহিন গত ১৯ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালত থেকে আগাম জামিন নেয় এবং ২০ ডিসেম্বর বিকেলে জেল বেরিয়ে টঙ্গীর বাসায় এলে বছিরগং বিষয়টি জানতে পারে। ওইদিন রাতেই মহিনের ঘর তল্লাশী ও তাকে আটকের নামে নতুন বাজার এলাকার বাসায় হামলা চালিয়ে মহিনকে না পেয়ে তার স্ত্রী শিমুকে বেদড়ক মারধর করে। মহিনের বাসা থেকে ফেরার পথে বছিরের নেতৃত্বে হামলাকারীরা দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শুক্কুরে বাসায় হামলা চালায়। এ সময় বাসায় আমাকে (শিল্পী আক্তার) ও আমার মাকে (খোদেজা বেগম) অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। এতে বাঁধা দেয়ায় বছির ও তার লোকজন আমাকে ও মাকে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এসময় আমার কোলে থাকা তিন মাসের শিশু সন্তানকেও তারা ছাড় দেয়নি। তাদের এলোপাথারী মারধরে কোলের শিশু বাচ্চাটি মাঠিতে পড়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরতর আহত অবস্থায় আমি (শিল্পী আক্তার) ও আমার কোলের শিশুটিকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আমার মা (খোদেজা বেগম) বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় উপরোক্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এব্যাপারে মহিনের স্ত্রী শিমু আক্তার জানান, আমার স্বামী আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাসার আসার কয়েক মিনিটের মধ্যে বছির বাহিনী বাসায় তল্লাশীর নামে হামলা করে মহিনকে না পেয়ে আমাকে মারধর করে। তারা এসময় মহিনকে পেলে হত্যারও হুমকি দেয়। আমি ও আমার স্বামী বছিরগংদের ভয়ে আতংকে আছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত বছিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ আমাদের রজু করা মামলার আসামী মহিনকে চিনে না, পুলিশ বলছিলো মহিন এলাকায় আসলে ম্যাসেজ দিতে। মহিন বাসায় এসেছে জানতে পেরে, তাকে সনাক্ত করতেই আমরা ওই বাসায় গিয়েছিলাম। ওখানে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। বরং তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। এ বিষয়ে জানতে টঙ্গী পূর্ব থানার উপ পরিদর্শক সজলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে বাসার মালিক মমতাজ ভয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরে ছিলো। তার কাছে জানতে চাইলে, উনি জানান, মহিন আমার ননদের জামাই। মহিনকে খুঁজতে একদল লোক এসেছিলো। কিন্তু তিনি ভয়ে দরজা খুলেননি। তাছাড়া মহিন জামিনে আছে, এমন একটি রি-কল আমাকে দেখানোর পর আমি চলে আসি। এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই।